রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৪ ৪:২৩ : অপরাহ্ণ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দীর্ঘ দুই মাস পর ঝড়-ঝঞ্ঝা সামলিয়ে অবশেষে দেশে পৌঁছেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক এমভি জাহান মণি-৩ নামের একটি লাইটার জাহাজ করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান।
এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ বন্দরের এনসিটি ১ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটি বন্দরে ভিড়লে ৪টা ২০ মিনিটের দিকে নাবিকরা একে একে জাহাজ থেকে নেমে আসেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরে ২৩ নাবিককে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহাইল, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র রেজাউল করিম, কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। বন্দরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন নাবিকরা।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় লাইটার জাহাজটি।
গতকাল সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম। ‘এমভি আবদুল্লাহ’র দায়িত্ব নিয়েছে নতুন ২৩ নাবিক।
এর আগে, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি।
পরে জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর আরেকটি বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: ৫৫ কোটি টাকায় মুক্তি পেলো জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক