দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। কিছু আমদানি বিল পরিশোধ করার পর আজ রোববার রিজার্ভ ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৪ সালের শুরুর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর কখনো নিচে নামেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) মাধ্যমে আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত দুই মাসের আমদানি বিল হিসেবে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না।
আইএমএফের হিসাবের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬.০৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ নিট রিজার্ভ বর্তমানে ১৩.৭৬ বিলিয়ন ডলার।
প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য।
সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়।
আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়।
এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।