বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সংকট আরও গভীর হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার যদি নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ সুখকর হবে না।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
৮ মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কে আসলো না আসলো এটা নিয়ে বিএনপি আগ্রহী না। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের ভরসা। আমাদের পুরো আস্থা (জনগণ)। সেই আস্থার ওপরেই আমরা দাঁড়িয়ে থাকি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের মনে করছেন, উনারা সংকট ওভারকাম করেছেন। কিন্তু সংকট আরও গভীর হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড লু আসার খবরে বিএনপি চাঙা: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তাদের মধ্যে দাম্ভিকতা তৈরি হয়েছে, কারণ তাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা একটা গোত্র তৈরি করেছে, তাদের দুর্নীতি করতে সহায়তা করছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করে ফেলেছে। এখন গোটা দেশেই নৈরাজ্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে যে ভয়াবহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি দলের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঋণ খেলাপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেহেতু এই সরকারের কোনো স্তরেই জবাবদিহিতা নেই সেহেতু লাগামহীনভাবে ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, জনগণের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোত্র তৈরি করা হচ্ছে। যারা এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে বিরাজনীতিকরণ করতে বিচারবিভাগকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। শুনতে পাচ্ছি বিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ট্রাইব্যুনাল করা হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য রাজনীতিতে নির্বাসিত করা। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বিচারবিভাগকে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতীয় খাদ্য পণ্যে ক্যান্সারের উপাদান থাকায় ৮৭টি পণ্য ইউরোপে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্য যথাযথ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা করা নিয়ে সন্দেহ থাকলে, জনগণকে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিতে হবে।’