বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ আন্দোলনকারীদের শাহবাগ অবরোধ


রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২৪ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলনকারীরা গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে এতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এ সময় তারা ‘পঁয়ত্রিশ আমার অধিকার’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, ৩৫ আমার ঠিকানা’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল ভেঙে দাও’, ‘নির্বাচনী ইশতেহার পালন করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।

বক্তারা আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর ধরে তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততধিক। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি।

পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।

বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরি প্রত্যাশী। সবশেষ শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন তারা।

পরে শিক্ষামন্ত্রী চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে সুপারিশ করেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর