রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২৪ ১০:১৫ : পূর্বাহ্ণ
হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই?/ এই শোন না কত হাসির খবর বলে যাই… পুরোনো কাব্যিক এই কথাগুলোর সাথে আজকের পিয়া জান্নাতুলের লাবণ্যময়ী হাসির কোনো সংযোগ নেই। কিন্তু অস্থির গণমাধ্যম! আর অগণিত ক্যামেরার সামনে কোন বিষয়টি দর্শকের নজর কাড়বে বা আলোচ্য হয়ে উঠবে, তা বলা মুশকিল। সেই গোলকধাঁধায় হঠাৎ আলোচিত পিয়া জান্নাতুল।
মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল এখন পুরোদস্তুর আইনজীবী। যদিও এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক আইনজীবী রয়েছেন। তবে নিয়মিত আদালত পাড়ায় প্র্যাকটিস করা আইনজীবী শোবিজ তারকাদের ভেতরে খুবই কম।
সাংসদ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের চেম্বারের সহকারী আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন জান্নাতুল পিয়া।
বিশেষ সেই হাসির ক্লিপ ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে পিয়া বলেন,‘যারা ফেসবুক বা সোশ্যাল হ্যান্ডলে ভাইরাল করছেন। বা আমাকে জাতীয় ক্রাশ, ইত্যাদি নানান উপাধিতে ভূষিত করছেন তাদের বয়স ১৬/১৭ বা তার খানিকটা বেশি। কিন্তু তারা জানে না আমার এই শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার তার চেয়েও বেশি সময়ের। তাই আমার জন্য বিষয়গুলো খুবই বিব্রতকর। কারণ আমার এই প্রায় ২ বছরের আইন পেশার ক্যারিয়ারে অনেক চ্যালেঞ্জিং সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেগুলো নিয়ে চর্চা নেই। আর এসব বিষয়গুলো আমি প্রকাশ করতেও চাই না। তাই এ নিয়ে আমার কোনো বিশেষ কিছু বলার নেই। সেদিন ব্যারিস্টার সুমন ভাইয়ের পাশে জহির ভাই ছিলেন, আমি বরং দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু এভাবে ওরা আমাকে ক্যাপচার করবে, ভাবিনি।’
অভিনয় বা মডেলিং ছেড়ে এক সময়ের ব্যস্ত মডেল অভিনেত্রী পিয়া এখন খুবই সিরিয়াস তার এই পেশায়।
পিয়া বলেন, ‘আমি মডেলিংয়ে আন্তর্জাতিক যে জায়গাটায় পৌঁছেছিলাম, তা বাংলাদেশের অনেকেই পাননি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি বলব, আমার ঘাটতি ছিল। তাই সরে এসেছি। কিন্তু আমি যখন যা করতে চেয়েছি, তা মনপ্রাণ দিয়ে সততার সাথেই করেছি। আমার বর্তমান কাজটিও আমি সেভাবেই নিয়েছি জীবনে। আমি থাকি গুলশানে। আমার ছোট একটি বাচ্চা, সংসারের কাজ ফেলে আমি সেই পুরোনো ঢাকায় কাজের জন্য যাই। যেন সার্থকতা পাই, সেকারণেই আমি দিনরাত পরিশ্রম করি।’
তবে কি রাজনীতিতে সক্রিয় হবার ইচ্ছে রয়েছে পিয়ার? এমন প্রশ্নের জবাবে পিয়া বলেন,‘দেখুন, রুলিং পার্টির সাথে আমার সখ্য রয়েছে, আমি স্রোতের জোয়ারে রাজনীতিতে নাম লেখালাম, ঐভাবে আমি রাজনীতি করতে চাই না। হয়তো আসতেও পারি ভবিষ্যতে। কিন্তু যখন নিজেকে সেই জায়গায় পরিণত এবং যোগ্য মনে করবো-অবশ্যই আমি সক্রিয় রাজনীতিতে এসে সমাজের জন্য কাজ করবো।’
সামাজিক মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় বলেই ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কাজ করা কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘মোটেই তা না। আমার সাথে তার সংযোগটা একেবারেই কাকতালীয়। আমি অনেকের চেম্বারেই নক দিয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কারো কাছেই আমি তেমন একটা রেসপন্স পাইনি। হয়তো ভেবেছে পিয়াকে এসোসিয়েট করে কী হবে? ও তো সিরিয়াসলি কাজ করবে না। বা আমাকে টুকটাক লোকে চেনে, সেটাকেও কেউ কেউ ঈর্ষার দৃষ্টিতে দেখেছে। একদিন হঠাৎ করেই আমি কোর্টে যাই। আজ যা হবার হবে। কোর্টের বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখি জানালা দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আমাকে ইশারা করছেন। আমি গেলাম। দেখা হলে তিনি বললেন, ‘তোমার কি এনরোলমেন্ট হয়েছে? তুমি যদি চাও, তুমি আমাদের এখানে কাজ করতে পারো। এরপর থেকেই সংযুক্ত হয়ে গেলাম।’
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েই দিলেন? পিয়া বলেন, ‘না এখানে তো ঘোষণা দিয়ে ছাড়ার কিছু নেই। আবারও কিছু ভালো শো হলে করব। মডেলিংটাও করার ইচ্ছে রয়েছে। কোনো কিছুই তো আমি স্টপ করিনি। তবে হ্যাঁ, ‘অ্যাডভোকেট পিয়া’ এই পরিচয়কে আমি এখন সবচেয়ে গুরুত্বের জায়গায় রেখে কাজ করছি।’