রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ মে, ২০২৪ ১১:২৫ : পূর্বাহ্ণ
প্রায় তিন বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
কারা ফটকে মাওলানা মামুনুল হককে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের অসংখ্য নেতাকর্মী।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও মামুনুল হকের মুক্তির খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার ভক্ত ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় তিনি ছাড়া পাননি।
মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে এসব মামলার মধ্যে ৩৬ টিতে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। সর্বশেষ মামলায় তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এরপর বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মাওলানা মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে তাকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন রিসোর্টে তার সঙ্গে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। কিন্তু ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক।
এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ৩৭টি মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন।