রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ মে, ২০২৪ ১২:৪২ : অপরাহ্ণ
দেশের বামপন্থি রাজনীতিবিদরা নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে? তারা কি একবার এটা ভেবে দেখেছে? আর আমার অপরাধটা কী?’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ উৎখাত করলে ক্ষমতায় কে আসবে এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরবরর্তীতে কে আসবে সেটা কি ঠিক করতে পেরেছেন? কে দেশের জন্য কাজ করবে? সেববের কিছুই স্পষ্ট না। সেসব স্পষ্ট না বলেই তারা (বিরোধী পক্ষরা) আন্দোলনে জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।’
দেশের অতি বাম, অতি ডান- সবই এখন এক হয়ে সরকারকে উৎখাত করতে চাচ্ছে-গত ৩০ এপ্রিল গণভবনে আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না। হ্যাঁ, আমরা যদি আন্দোলন থামাতে আমেরিকান পুলিশি স্টাইল ব্যবহার করি এবং পুলিশকে যদি বলি, তাহলে কেমন হবে?’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশ না নেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন বয়কট করে কেন? যখন সক্ষমতা না থাকে তখনই ভোটে অংশ নেয় না। উপযুক্ত ও যোগ্য নেতা নেই বলে তারা নির্বাচন বর্জন করে। দণ্ডিত আসামি, পলাতক আসামিকে নেতা হিসেবে জনগণের সামনে নিয়ে এলে তো জনগণ গ্রহণ করবে না। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।’
পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর অপশক্তি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে দিতে চেয়েছিল। শেখ রেহানার পাসপোর্টটা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। তখন তো আমি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে ফিরে এসেছি, পালিয়ে থাকি নাই। তাদের তো সেই সৎ সাহস নেই, এ কারণে পালিয়ে বেড়ায়।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে তিনি ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানান, সফরকালে তিনি গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
আরও পড়ুন: অতি বাম-ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: শেখ হাসিনা