রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ৪:০২ : অপরাহ্ণ
বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান বন্ধ ছাড়াও চুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত গণপরিবহনের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। এছাড়াও বিভিন্ন গণপরিবহনে যখন তখন হামলা, আগুন, পুলিশের হয়রানি, সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য বন্ধসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেন।
সভায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু বলেন, বাসচালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। মোটরসাইকেল চালক বেপরোয়া ছিলেন। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলআরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।
পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। ওই বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনও করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।