রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

রাজনীতি ঠিক না থাকায় অর্থনীতির ভয়ঙ্কর অবস্থা: সাবেক গভর্নর


বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ৯:০২ : অপরাহ্ণ

‘দেশে রাজনীতি ঠিক না থাকায় অর্থনীতির অবস্থা ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘শুধু অর্থনীতির বিষয়ে কথা বললে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে রাজনীতির বিষয়টা সবচেয়ে বড়। এটা তো আপনারা দেখতেই পারছেন। ভয়ঙ্কর অবস্থা। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যদি সঠিক না হয় অর্থনীতি ঠিক হবে না।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহফুজ উল্লাহর লেখা আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘আমার জীবন আমার সংগ্রাম’ এর প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৫৯২ পৃষ্ঠার গ্রস্থটির প্রকাশ করেছে ‘বাঙ্গালা গবেষণা’।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনীতির এই টেকনিক্যাল কথাবার্তা, গ্রোথ রেইট ৫ পয়েন্ট ৫ হলো নাকি ৫ পয়েন্ট ৭ হলো, তারপরে ইনফুয়েশন ৮ দশমিক ২ হলো নাকি ৮ দশমিক ৩ হলো- এগুলো নিয়ে কচকচানি করলে তো সমস্যার সমাধান হবে না। মূল সমস্যা হলো যে, আমাদের ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, রাজনীতিটাও অনেকটা ধ্বংসের পথে এবং সেখানে অর্থনীতি কিভাবে ঠিক থাকবে?’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘যে রাজনীতিতে ছাত্রজীবনে পজিটিভ রাজনীতি, ভালো রাজনীতি, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি যদি না করেন তবে কিন্তু ভবিষ্যতে ভালো মানুষও হবেন না। ভ্যালুজ কিছু থাকতে হয়। আমাদের সময়ে কিছু ভ্যালুজ ছিল। মাহবুব উল্লাহ ভাইয়ের তো ছিলোই। সৎভাবে জীবন-যাপন করেছেন, অনেক কিছু হতে পারতেন। আমরাও করেছি, আমার বন্ধু আলমগীরও (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) সৎভাবে জীবন-যাপন করেছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে ভ্যালুজগুলো বারে বারে তাড়া করতো। এখনো আমাদেরকে এটা তাড়িত করে। সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা, এসব চিন্তা এখনো আমাদের তাড়িত করে।’

ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘অপরদিকে ওই সময়ে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল, যারা আমাদের মার দিয়েছিল। আমাকেও একবার উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে সহযোগী যারা তারা এখন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, তারা এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। নাম বলব না। আপনারা অনেকেই জানেন। তারা এখন আমাদের সঙ্গে তর্ক করে, তোমরা কী করেছো? অত্যন্ত দুঃখ লাগে বন্ধু মানুষ তো! অনেক সময় এবোর্ট করতে পারি না। কিন্তু ইতিহাস তাদেরকে ক্ষমা করেছে কি না জানি না। মনে হয় না ক্ষমা করেছে। মানুষ নিশ্চয়ই তাদের ক্ষমা করে নাই।’

অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে আলোচনা শুনেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, নাজমুল হক নান্নু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর