রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ৫:২৪ : অপরাহ্ণ
অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। টানা এতোদিনের তাপপ্রবাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সালের পর এই ভূখণ্ডে এটাই সর্বোচ্চ টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড।
উল্লেখ্য, টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।
এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের তীব্র গরমের কারণ ব্যাখ্যা করে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের স্থানিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে সূর্যের কাছে থাকে, যে কারণে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে সূর্য সাধারণত (কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর) একদম খাঁড়া অবস্থায় চলে আসে (বাংলাদেশও এই কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থিত)। সূর্য যত খাঁড়াভাবে আলো দেবে তত বেশি তাপ অনুভূত হবে।’
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই