রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:১৬ : অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলো, দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াবে। সেই ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল।’
আজ বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৭ সালে আসলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ফখরুদ্দীন সাহেব প্রধান উপদেষ্টা, ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ মেজর জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ আবার ঘোষণা দিলেন আলু খাওয়ার জন্য। হাজার পদের আলুর নানা রকমের তালিকা তৈরি করা হলো এবং তার আবার প্রদর্শনী হলো। বেশ উন্নত হোটেলে। মানুষ ভাত পাচ্ছে না তাতে কী! আলু খাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আমাদের ডাল-ভাত খাওয়াতে চাইলো, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইলো, মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা; আমার মাছে-ভাতে বাঙালি, মাছ-ভাত পেলেই তো যথেষ্ট। সেটাই তো আমরা চাই। সেটাই তো আমাদের লক্ষ্য। কাজেই আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছি। এখন অন্তত বলতে পারি, মাছ-ভাতের অভাবটা নাই, ডাল-ভাতেরও অভাব নাই। তবে মানুষের চাহিদা এখন মাংস। আরও বড় বড় মাছ, সব কিছু খাবে।’
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল— আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করবো। পার্লামেন্টে যেদিন আমি ঘোষণা দিলাম যে, আজ থেকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই দিন বিএনপি বিরোধী দলে, খালেদা জিয়া বিরোধী দলের চেয়ারে বসা। তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান উঠে দাঁড়িয়ে বললো-খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তাহলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের চিন্তাধারাটা ছিল, আমরা প্রতিনিয়ত অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো আর ভিক্ষা চেয়ে খাবার এনে খাবো। যেখানে জাতির পিতা বলে গেছেন, আমাদের মাটি আছে, সোনার মাটি। আমাদের ফসল আমরা ফলাবো এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমার কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করবো।’