রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০২৪ ১১:১৬ : অপরাহ্ণ
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না। এ জাতিকে মুক্তির জন্য আরেকটিবার বুক সটান করে দাঁড়াতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় আছেন আমরা তাদের শত্রু নই। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে হেদায়েত দেন। আমাদের ওপর আঘাত এলে তার প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমার আছে। কেউ পায়ে পাড়া দিয়ে বিবাদ করতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকারি দলের লোকেরা রাজনীতি করার অধিকার রাখলে দেশের সকল নাগরিক সাংবিধানিকভাবে সে অধিকার রাখে।’
জামায়াত আমীর বলেন, ‘আজকে বিগত আটটি বছর আমরা সকলে মিলে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাইনি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ যেন তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। অসংখ্য সহকর্মী জেলে গেয়েছেন ও জীবন দিয়েছেন। সাত বছরের শিশুও রেহাই পায়নি। আমরা মনে করি সবকিছুর একটা সীমা আছে। কেউ চূড়ান্ত ক্ষমতা দখল রাখতে পারে না।’
ইফতারে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
ইফতার মাহফিলে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাদের মধ্যে অংশ নেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও জয়নাল আবেদীন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আতাউর রহমান ঢালী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জহির উদ্দিন স্বপন, অপর্ণা রায়, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার একাংশের খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নুরুল হক নুর, অপর অংশের ফারুক হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এবি পার্টির যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, এনডিএম‘র ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ ন্যাপের এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবদুর রব, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক শামসুল আলম, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাছির জামাল, ডিইউজের একাংশের মো. শহীদুল ইসলাম, খুরশিদ আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিরা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, আনম শামসুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, শাহজাহান চৌধুরী, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, আবদুর রব, মোবারক হোসাইন, আবদুর রহমান মূসা, আবদুস সবুর ফকির, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. দেলাওয়ার হোসাইন, আব্দুল জব্বার, জহির উদ্দিন বাবর, কেরামত আলী, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।