রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

জিম্মি জাহাজে অভিযানের অনুমতি চেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন


সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ মার্চ, ২০২৪ ১২:১১ : পূর্বাহ্ণ

সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি টহল জাহাজ চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা অভিযানে যাওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল।

কিন্তু নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকারের তরফে অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম মানবজমিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

খুরশেদ আলম বলেন, ‘গভীর সমুদ্রের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে আশপাশের অনেক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের টহল জাহাজ কাজ করে। বিশেষ করে জলদস্যুতা প্রতিরোধে নিয়মিত সার্ভিলেন্স থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে হুতিদের প্রতি এটেনশন দিতে কিছু জাহাজ ব্যস্ত থাকার গ্যাপে সুযোগ নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারা কয়েক মাস আগে অন্য দেশের একটি জাহাজকে জিম্মি করে বড় জাহাজ ধরার অপেক্ষায় গভীর সমুদ্রে ওঁত পেতে ছিল। প্রায় ১৩শ’ নটিক্যাল মাইল ভেতরে গিয়ে তারা আক্রমণটি করেছে।’

আরও পড়ুন: পরিবারের সঙ্গে জিম্মি নাবিকদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দিলো জলদস্যুরা

বাংলাদেশের জাহাজ সঠিক পথেই ছিল দাবি করে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘তবে সেখানেও কিছু প্রশ্ন আছে। একটি নোটিশ ছিল ওই পথে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের। বৃটেনের তরফে সেটা জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই ডেঞ্জার জোনের একশত নটিক্যাল মাইল দূর দিয়ে যাচ্ছিল। আরেকটু ভেতর দিয়ে অর্থাৎ আড়াই থেকে ৩শ’ নটিক্যাল মাইল ভেতর দিয়ে গেলে হয়তো বিপদ এড়ানো যেতো।’

আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে, হাতে ভারী অস্ত্র

খুরশেদ আলম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান পুরো এলাকা সার্চ করেছে এবং তারা আমাদের জাহাজটি যে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে সেই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে কাছাকাছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ ছিল। সেটি তাৎক্ষণিক দস্যুদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের লোকজনের প্রাণরক্ষায় আমরা সে পথে যাইনি। এখন নেগোশিয়েশন চলছে কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক, ক্রুদের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।’

আরও পড়ুন: সোমালি জলদস্যু কারা, কীভাবে তাদের উত্থান

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর