রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৬ মার্চ, ২০২৪ ১১:১৪ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস আলম সুগার মিলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পুড়ে যাওয়া কাঁচামাল থেকে কার্বন সৃষ্টি হচ্ছে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে যা আরও দাহ্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে আগুন নির্বাপণে দেরি হচ্ছে। এ আগুন পানি দিয়ে নির্বাপণ সম্ভব নয়।
আগুনের তাপ ও পুড়ে যাওয়া চিনির গলিত লাভার চাপে হেলে পড়েছে দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনের এক পাশের দেওয়াল। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই থেকে তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনটি প্রায় পাঁচ তলার সমান উচ্চতার। এটির পুরোটাজুড়েই চিনির কাঁচামাল মজুত আছে। শুধু নিচ থেকে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ওপর থেকে পানি ছেটানোর বিকল্প নেই, কিন্তু সরঞ্জামের অভাবে আমরা করতে পারছি না। তাই গোডাউনের পুরো কাঁচামাল পুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আগুন নেভার সম্ভাবনা নেই।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, ‘আগুন লাগা গুদামটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে আগুন লাগার পর নেভানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পুরো গুদামটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলের একটি গুদামে আগুন লাগে।
কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক সংলগ্ন ইছাপুর এলাকায় ১১ মেগাওয়াটের এস আলম পাওয়ার প্লান্টের পাশেই এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলটি অবস্থিত। পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ দিয়েই চিনি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চলে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগুনে এস আলমের ১ লাখ টন চিনি পুড়ে যাওয়ার দাবি