রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ মার্চ, ২০২৪ ৬:২০ : অপরাহ্ণ
লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। তবে তিনি দাবি করেছেন, বিদেশের সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য জানান, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন?
সাবেক ভূমিমন্ত্রী এই জানান, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংকঋণ আছে।
মন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে ব্যবসার বিপুল সম্প্রসারণের বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি আমার জন্য সুযোগ হয়ে আসে। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংকঋণের সুদ কমে যায়। সে সময় আমি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছি।
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতিও হয়নি বলে দাবি করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল গঠন করুন। কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
নিজেকে আগে ব্যবসায়ী পরে রাজনীতিক বলে উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেবুঝে। কারণ, তার সন্তানদের তখন মালিক হওয়ার মতো বয়স ছিল না। তার বিদেশের সম্পদের পরম্পরা (ট্রেইল আছে) আছে। সুতরাং, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেই।
আরও পড়ুন:
বৃটেনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ পাচার নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র