দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকের অর্থ লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটায় গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলিস্থানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন পুলিশ তাদের প্রথম দফা লাঠিপেটা করে। জোনায়েদ সাকিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে নেতাকর্মীরা আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর আবারও লাঠিপেটা করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা অনুমতি ছাড়া এখানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসেছেন। তারপর আমরা তাদের বারবার বলেছি, তাদের এখানে অনুমতি নেই। কিন্তু ওনারা আমাদের কথা শুনেননি। ওনারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, ওনারা সচিবালয়ের সামনে এসে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে চলে যাবেন। কিন্তু ওনারা আমাদের দেওয়া ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয় ঢোকার চেষ্টা করেছেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। আমাদের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে অনেক মেরেছে পুলিশ।’
মিছিলের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘একটা মহল এই সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে আছে। সরকার মেগা প্রকল্প করে, মেগা লুটপাটের জন্য। এই লুটের টাকা সবাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছে।’
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার যতই হাবভাব দেখাক না কেন, রোজায় দাম কমাতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন যেভাবে চলে এর থেকে খারাপভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’