সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সাগর-রুনি হত্যা: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো ১০৬ বার


সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২:১৭ : অপরাহ্ণ

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারও পিছিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে ১০৬ বারের মতো সময়সীমা পেছানো হলো।

আজ মঙ্গলবারও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

এর আগে, পৃথক দুটি আদালত এই মামলার তদন্ত এবং হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটন এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের ব্যর্থতার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আট জনকে আসামি করা হয়।

বাকি আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র জামিনে আছেন। বাকিরা এখনো কারাগারে।

এ মামলার তদন্তে প্রথমে ওই থানার একজন এসআই নিয়োজিত ছিলেন। চার দিন পর ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ডিবি পুলিশ দুই মাসে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার যায় র‍্যাবের কাছে।

কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মার্চ মাসে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ঐ দুই ব্যক্তির ডিএনএর প্রমাণ মিলেছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাবে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার এক যুগ, রহস্য এখনো অজানা

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর