রমজান মাসের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আজ রাতে দাম বাড়ানোর গেজেট জারি হতে পারে।
সরকার বিদ্যুতে বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। এরই অংশ হিসেবে আগামী তিন বছর বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এ নতুন দাম কার্যকর হবে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাসাবাড়ির গ্রাহকপর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘মার্চ থেকেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় কার্যকর হবে।’
আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
২০১০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১২ বার বেড়েছে। শুধু ২০২৩ সালে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্বাহী আদেশে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে বন্ধ হবে বহু শিল্পকারখানা