চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মামলা চলবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রায় দেন।
আদালত বলেন, পরীমনির বাসা থেকে আইস ও এলএসডি মাদক পাওয়া গেছে। সে বিষয়টি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
তবে, তার বাসায় বিদেশি মদ পাওয়ার বিষয়ে আদালত বলেন, মদ সেবনের লাইসেন্স থাকা এবং মদে অ্যালকোহলের মাত্রা কম থাকায় সেক্ষেত্রে মদ জব্দের বিষয়টি বাদ দিয়ে বিচার করতে হবে।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন তিনি। পরীমনির পাশাপাশি মামলার অন্য দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার জামিনে রয়েছেন।