শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ‌সম্পদ পাচার নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র


মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ পাচার নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই বিষয়ে কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন-ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের লোকদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি একটি ওপেন সিক্রেট। মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের এক শতাংশের সমতুল্য। এটি অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। বাংলাদেশ সরকারকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিবে?

জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এই রিপোর্টের বিষয়ে অবগত রয়েছি। বাংলাদেশ সরকারকে বলবো, তাদের সব কর্মকর্তা যেন দেশটির আইন এবং অর্থনৈতিক বিধি-বিধান মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিষয়ক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ এ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে বৃটেনে সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তির রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

ব্লুমবার্গ ম্যানহাটানে জাভেদের অন্তত পাঁচটি সম্পত্তি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ ডলার বা ৬৬ কোটি টাকায় এগুলো কেনা হয়।

উত্তর-পশ্চিম লন্ডনে জাভেদের একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে যার দাম ১.৩ কোটি পাউন্ড (১৮০ কোটি টাকার বেশি)।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বৃটেনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর