রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ প্রকাশের সময় :২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৯:১৩ : অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে আলোচিত শিশুবক্তা খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের গুজবকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে মুসল্লিদের। এ সময় মুসল্লিরা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে।
পুলিশ বলছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন বাদাঘাট মাদ্রাসা মাঠে ‘হিলফুল ফজল পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি করা হয় আলোচিত শিশুবক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে। কিন্তু তাতে প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি।
যদিও রাত ১২টার দিকে মাওলানা মাদানি মাহফিলস্থলের বাইরে বাদাঘাটে বাজারে অবস্থান করছিলেন। তিনি মাহফিলে আসতে চাইলে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাকে বাধা প্রদান করে। এতে মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
হঠাৎ মঞ্চে সংবাদ আসে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মাহফিলের মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে তারা নানা স্লোগান দিয়ে বাজারের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরকারীরা তদন্তকেন্দ্রের বাঁশের বেড়া ও সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
প্রায় ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন জানান, রফিবুল ইসলাম মাদানীকে পুলিশ আটক করেনি। এটি মূলত গুজব রটিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আয়োজক কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাহফিলে যোগ দিতে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী যখন বাদাঘাটে বাজারে এসেছিলেন, তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে না আনতে আমাদের নিষেধ করা হয়। এ সময় তাকে আটক করা হয়েছে শুনে মুসল্লিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।