রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৯:২৭ : পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে পাল্টাপাল্টি বিজয় দাবি করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দল দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে না পারলেও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়ে এগিয়ে রয়েছেন পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও তার দল পিএমএল-এন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিততে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ৯৯ আসনে জয় নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, একক দল হিসেবে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে নওয়াজের দল-পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। দলটি ৭১ আসনে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩ আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
আজ শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলে এ তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।
যেহেতু ইমরান খানের দল পিটিআই এবার একক দল হিসেবে ভোটে লড়েনি, তাই সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে ধরা যাচ্ছে না তাদের। এদিকে, নওয়াজ শরিফ বিজয়ের ঘোষণা করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারবে না তার দল। তাই জোট গঠনের জন্য ইতোমধ্যেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শরণাপন্ন হচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার লাহোর শহরে তার দলের কার্যালয়ের বাইরে সমর্থকদের উদ্দেশে এক বক্তৃতায় নওয়াজ শরীফ স্বীকার করেছেন যে তার দল পিএমএল-এন এককভাবে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় আসনে জয়ী হতে পারেনি। তিনি অন্য প্রার্থীদের তার সাথে জোটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল বার্তায় নির্বাচনে বিজয় দাবি করেছেন। বার্তায় নওয়াজ শরিফের ‘বিজয় অর্জনের’ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে ইমরান খান তার সমর্থদের জয় উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি পার্লামেন্টের বৃহত্তম গোষ্ঠী হয়ে যান তাহলে তাদেরকে একটি বিদ্যমান রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে হবে। শোনা যাচ্ছে, মজলিশ ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) দলের সঙ্গে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যোগ দিতে পারেন। এই দলে যোগ দিলে তারা সংরক্ষিত আসনের ভাগও পেয়ে যাবেন। এরপর তারা পার্লামেন্টের নেতা হওয়ার জন্য নিজেদের একজন প্রার্থী দিতে পারবেন।
তবে শুক্রবার বিবিসিকে ইমরান খানের সাবেক বিশেষ সহকারী জুলিফকার বুখারি বলেন, ‘ইমরান খানকে যতদূর জানি এবং আমাদের রাজনৈতিক দল পিটিআই-এর নীতি সম্পর্কে যতদূর জানি, আমার মনে হয় না আমরা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোয়ালিশনে যাব।’