দিন যত যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত ততো বিস্তৃত হচ্ছে। এতোদিন মিয়ানমারের উত্তর দিকে সংঘাত চললেও দক্ষিণের পরিবেশ মোটামুটি শান্ত ছিল। এখন সেই সংঘাত নতুন করে অগ্রসর হচ্ছে দক্ষিণ দিকে।
আজ শনিবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বা বিল, উনচি প্রাং সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমারের গুলি-মর্টারশেলের শব্দে কেঁপে উঠে।
মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া ৪টি গুলি এপারে একটি দোকান ও বাড়িতে এসে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মর্টারশেলের শব্দ শুনে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মন্তব্য জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন মর্টারশেলের শব্দগুলো এতো প্রকট ছিল যে মনে হয় ভূমিকম্পকে হার মানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উত্তরের অনেক ঘাঁটি দখলে নেওয়ার পর নতুন করে লম্বাবিল এলাকার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কুমিরখালীতে যে বিজিপির ঘাঁটি রয়েছে সেটি দখলের জন্য বিদ্রোহীরা এমন গোলাগুলি চালিয়েছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, আমরা সীমান্তের কাছে বসবাস করি। সব সময় ভয়ের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। গোলাগুলি শব্দে এলাকার মানুষ সীমান্তের কাছে কোনো কাজ কর্ম করতে যেতে পারছেন না। সন্তানদেরও স্কুলে পাঠাতে ভয় হচ্ছে। আজ শনিবার ভোর থেকে হোয়াইক্যং পয়েন্টের মিয়ানমারের ওপারে শুরু হয় প্রচন্ড গোলাগুলি।
বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তজুড়ে আমরা সর্বদা প্রস্তুত ও টহল জোরদার করেছে।
এদিকে রাতে নাফ নদ হয়ে নৌকাযোগে ১০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিত।