রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৬:০৯ : অপরাহ্ণ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সহিংসতার সময় ছোড়া গোলা প্রায়ই বাংলাদেশের ভিতরে এসে পড়ছে, যাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু গায়ে এসে পড়লে ছেড়ে দেবো না।।
প্রতিবেশী দেশ দুটো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে এমন কোন সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কা অবশ্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা দেখছেন না।
চলতি বছর বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির যে তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার, তাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের শক্তির একটি ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের তুলনায় জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে থাকলেও সামরিক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তিতে মিয়ানমারের অবস্থান যেখানে ৩৫তম, বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ৩৭।
তবে তাদের এই তালিকায় শুধুমাত্র সামরিক লোকসংখ্যা, অস্ত্র, যানবাহনের মতো বিষয়ই বিবেচনায় আসেনি-এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জনসংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থান, শিল্প, কর্মক্ষমতার মতো নানা বিষয়।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কার কতটুকু সামরিক শক্তি রয়েছে?
সৈন্য সংখ্যা
এই ইনডেক্স অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক এক লাখ ৬০ হাজার, অন্যদিকে মিয়ানমারের বাহিনীতে রয়েছে চার লাখ ছয় হাজার।
বাংলাদেশের সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৬৫ হাজার কর্মী, মিয়ানমারের রয়েছে এক লাখ ১০ হাজার।
প্রতিরক্ষা বাজেট
প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে অবশ্য মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাজেট যেখানে ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাজেট ২.৭ বিলিয়ন ডলার।
এয়ারক্রাফট
এখানেও এগিয়ে মিয়ানমার। বাংলাদেশের ১৭৭টির বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ২৭৬টি এয়ারক্রাফট।
যুদ্ধবিমান
বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান রয়েছে ৪৪টি, মিয়ানমারের রয়েছে ৫৯টি।
হেলিকপ্টার
বাংলাদেশের হেলিকপ্টার রয়েছে ৬৭টি আর মিয়ানমারের রয়েছে ৮৬টি। বাংলাদেশের কোন অ্যাটাক হেলিকপ্টার না থাকলেও মিয়ানমারের রয়েছে ৯টি।
সামরিক যান
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মোট ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি। অন্যদিকে মিয়ানমারের রয়েছে ৫৯২টি। সাঁজোয়া যান বাংলাদেশের রয়েছে ১২৩০টি আর মিয়ানমারের রয়েছে ১৩৫৮টি।
আর্টিলারি
বাংলাদেশের রয়েছে ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান এবং ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। মিয়ানমারের রয়েছে ১০৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি আর একই পরিমাণ রকেট প্রজেক্টর।
রকেট প্রজেক্টর
বাংলাদেশের ৭২টি রকেট প্রজেক্টরের বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ৮৪টি রকেট প্রজেক্টর।
নৌবহর
নৌশক্তিতেও মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। মিয়ানমারের রয়েছে ১৮৭টি জাহাজ, বাংলাদেশের রয়েছে ১১২টি।
সাবমেরিন
সাবমেরিনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের একটি সাবমেরিনের বদলে বাংলাদেশের রয়েছে দুটি।
ফ্রিগেট
এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রয়েছে আটটি ফ্রিগেট, অন্যদিকে মিয়ানমারের রয়েছে পাঁচটি।
বিমানবন্দর
মিয়ানমারে ৬৪টি বিমানবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে ১৮টি।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স-২০২৪ অনুযায়ী, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। শীর্ষ ১০দেশের মধ্যে আরও রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি। ।