রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, প্রকাশের সময় :৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:৪৪ : অপরাহ্ণ
মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেলটি এসে পড়লে তারা মারা যান।
এছাড়া এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জলপাইতলীর ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম।
নিহত নারী জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫৫)। আর রোহিঙ্গার নাম নবী হোসেন (৬৫)। তিনি বালুখালী আশ্রয়শিবিরের ৮-ই ব্লকের বাসিন্দা। তিনি হোসেনে আরার বাড়িতে ধানখেতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বেলা পৌনে তিনটার দিকে রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য রান্নাঘরে যান হোসনে আরা। তখন মর্টার শেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, দুপক্ষের গোলাগুলির সময় মর্টার শেল এসে বিস্ফারিত হয়েছে। তখন ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, মর্টারশেলের আঘাতে রান্না ঘরটি বিধ্বস্ত এবং লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পুরো রান্নাঘরের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ছড়ানো ছিটানো খাবার।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর র্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ঘুমধুম এলাকাটি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এর পাশেই মিয়ানমার সীমান্ত। সেখানে মিয়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। কিছুক্ষণ পরপরই ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের শব্দ। এতে পুরো সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় চলে যাচ্ছেন। দুজনের মৃত্যুর পর ওই বাড়ির আশপাশের পরিবারগুলো বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা