রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ৪:১৯ : অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ভারতের পাশে দাঁড়ানোটা খুব জরুরি ছিল, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কারণ কোনো কোনো বিরোধীদল কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল।’
আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সংশয় আর অবিশ্বাসের যে দেয়াল, তা ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনো কারণ দেখছি না।’
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন একটা চ্যালেঞ্জ। পাঁচ বছরে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা, ডলার-সংকট, রিজার্ভ-সংকট, জ্বালানি-সংকট আছে। এসব সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা—এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে।’
রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ, আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।’
সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না-বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন, এতো দিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতো দিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না।’
বিরোধী দল কারা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন।’
মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধানে যাবো। আমরা সংঘাতে যাবো না।’