বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয় পার্টি

ঢাকায় জাতীয় পার্টির একযোগে ৯৬৮ নেতাকর্মীর গণপদত্যাগ



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ৬:২২ : অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে অনাস্থা জানিয়ে দলটির একযোগে ঢাকা মহানগরের ১০ থানার ৯৬৮ জন নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গণপদত্যাগের তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুর আগে একে একে স্বাক্ষর করে পদত্যাগ করেন ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানা, শেরেবাংলা নগর থানা, মোহাম্মদপুর থানা, আদাবর থানা, পল্লবী থানা, মিরপুর থানা, বাড্ডা থানা, রূপনগর থানা, দারুস সালাম থানা ও ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখা জাতীয় পার্টির ৯৬৮ জন নেতাকর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে শেরেবাংলা থানা সভাপতি আশরাফুল হক শিবলী বলেন, ‘জি এম কাদের পার্টিকে প্রাইভেট কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেছে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন তার কাছে নেই, মূল্যায়ন করা হয় চাটুকারদের।’

মোহাম্মদপুর থানা সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘যে ইমাম নামাজে ভুল করে তার নেতৃত্বে নামাজ পড়া যায় না। তেমনি জি এম কাদেরের মতো একটি লোকের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি করা সম্ভব নয়, গুডবাই জাতীয় পার্টি।’

সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে মুদির দোকান মনে করেন। সারাদিন বনানীর দোকানে বসেন। আর তার সিন্ডিকেট দিনভর দোকানদারী করে সন্ধ্যার সময় জিএম কাদেরকে লেনদেনের হিসেব দেন। সারাদেশের সঙ্গে জিএম কাদেরের কোনো যোগাযোগ নেই। পার্টিকে তিনি ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা দলের এই বিপর্যয়ের জন্য জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করছি।’

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, ‘জি এম কাদের এক বছর আগে থেকেই বলে আসছিলেন, জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। সেভাবে তিনি বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এসেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে গরম গরম কথা বলে নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টাও করেছেন। আমরাও তার প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের আগে আমরা বুঝতে পারলাম, তিনি গোপনে সরকারে সঙ্গে আঁতাত করে নিজের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাবার বিনিময়ে গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। আর সমঝোতা করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ মাত্র ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে এমপি হয়ে এসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন তার বিপর্যস্ত সংগঠনে অবস্থান করে প্রাণপ্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জি এম কাদেরের সংগঠন থেকে আজ গণপদত্যাগের ঘোষণা করছি। একই সাথে আপনাদের কাছে এই অঙ্গীকারও করে রাখছি, অল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা পল্লীবন্ধু এরশাদের চেতনা, প্রেরণা, নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’

এসময় সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরী, আমানত হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা খুরশিদ আলম খুশুসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর