রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ২:১২ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কক্সবাজারের মহেশখালিতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। এর ফলে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না। দোকান থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন অনেকেই। কোনো ফিলিং স্টেশনে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে না। রাস্তায় গ্যাসচালিত যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, এলএনজি আমদানি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গত ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এটি গতকাল চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু করা যায়নি। এছাড়া পেছনের গতি বা ব্যাক প্রেশার না থাকার কারণে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কেজিডিসিএলের এই কর্মকর্তা জানান, আজ সারাদিন গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সামিটের টার্মিনালটি খালি করা হচ্ছে। এটিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাওয়ার কথা আছে। সব মিলিয়ে কখন পরিস্থিতি ভালো হবে বলা যাচ্ছে না।
পেট্রোবাংলা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
জানা গেছে, দুটি এফএসআরইউর মধ্যে একটির আমদানি ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ কমে যাওয়ায় গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। একটি এফএসআরইউর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হওয়ার পর গত সপ্তাহে পুনরায় সরবরাহ শুরু করার কথা থাকলেও তা পিছিয়েছে।