রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ৮:১২ : অপরাহ্ণ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ের জন্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নেমেছে। ফলে আবারও কমে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তবে সারাবিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আকুর বিল ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন (১২৭ কোটি) ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এখন মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদায়ী বছরজুড়ে ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম ছিল। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তবে বছরের শেষ সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংস্থার ঋণ পাওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছিল। নতুন বছরের শুরুতে আকুর বিল পরিশোধের কারণে আবারও রিজার্ভ কমেছে।
আকু হলো, একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্য পদ নেই শ্রীলংকার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন যাবত আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকু সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্য পদ উন্মুক্ত।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। তবে সংকট মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, নতুন করে ঋণ কম পাওয়া ছাড়াও বহু কারণে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে।
মাঝে অবশ্য রিজার্ভ আরও কমে গত ১৩ ডিসেম্বর ১৯ দশমিক ১৭ বিলিয়নে নেমেছিল। তবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি ডলার কিনে বাড়ানো হয়। মূলত আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য গত ডিসেম্বরে রিজার্ভ বাড়ানোর ব্যাপক চেষ্টা ছিল।