বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে, জাতিসংঘের বার্তা


জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:৪৫ : অপরাহ্ণ

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

আজ সোমবার রাতে জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারেক আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তিনি ভোটের পরিবেশ নিয়েও সমালোচনা করেছেন।

সেই সঙ্গে রোববার ভোটের দিন বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি সহিংসতা ও দমন–পীড়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ভোটের আগের মাসগুলোতে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে বা ভয় দেখানো হয়েছে। এই ধরনের কৌশল সত্যিকারের প্রকৃত প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, যেন সব বাংলাদেশির মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আমলে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যেন সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

ভলকার তুর্ক বলেন, প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের আগে গণগ্রেপ্তার, হুমকি, জোরপূর্বক গুম, ব্ল্যাকমেইলিং এবং নজরদারির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছে। রাজনৈতিক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো বিরোধী দলগুলো করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থকরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত দুই মাসে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী সমর্থক নিহত অথবা হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আটক অবস্থায় সম্ভাব্য নির্যাতন বা কঠোর পরিবেশ নিয়ে গুরুত্ব উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, প্রচুর মানবাধিকার কর্মী আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর কিছু পালিয় গিয়েছেন ও ডজনখানেক গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নভেম্বর মাসে।

ভলকার তুর্ক বলেন, এই ঘটনাগুলো অবশ্যই স্বাধীনভাবে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ীদের অবশ্যই ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচারণা চালানোর সময় এবং নির্বাচনের দিনেও আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কঠিনভাবে এসেছিল, এটি নষ্ট হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করি-এটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও বিস্তার করবে। সব বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

আরও পড়ুন: ভোটের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর