রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:১৫ : পূর্বাহ্ণ
২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনেও প্রথম দুই ঘণ্টায় বরিশালের কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। গুঞ্জন ছিল, সে সময় ডামি ভোটারদের দিয়ে লাইন বড় করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সেই ডামি ভোটারও নেই। প্রায় প্রতিটা কেন্দ্র ভোটারশূন্য।
আজ রোববার সকাল ৮টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরু হওয়ার প্রথম ঘণ্টায় বরিশালের কেন্দ্রগুলোতে কোথাও ১০টি, কোথাও ৮টি, আবার কোথাও ১২টি ভোট পড়েছে। এই ভোটগুলো দেওয়ার পর আর কোনো ভোটারকে দেখা যাচ্ছে না ঐসব কেন্দ্রে।
এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার হালদার জানান, প্রথম এক ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে ১২টি ভোট পড়েছে।
তবে বাইরে রয়েছে ভোটার আনার জন্য বিভিন্ন প্রতীকের প্রশিক্ষিত কর্মী। তারা ছুটোছুটি করছেন ভোটার আনতে।
সকাল সোয়া ৮টা। ৭নং ওয়ার্ডের মাতৃমন্দির স্কুল কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের প্রবেশপথ এতোটাই সংকীর্ণ যে পাশাপাশি দুজন ভোটর প্রবেশ করতে পরে না।
প্রতিবছরই এ কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কিন্তু এবার এই কেন্দ্র ঢুকে একটু চমকে যেতে হলো। কেন্দ্রের বাইরে বাঁশ দিয়ে ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানোর যে সারি তৈরি করা হয়েছে সেখানে দুজন আনসার সদস্য ছাড়া কেউ নেই।
এরপর ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও মানিক মিয়া স্কুল। এসব কেন্দ্রেও একই অবস্থা। বাইরে নৌকার এজেন্টদের ছুৃটোছুটি। ভিতরে ফাঁকা।
বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোড। এখানে অশ্বিনী কুমার টাউন হল কেন্দ্র। সাংবাদিক বা পর্যবেক্ষকরা এখানেই প্রথমে আসেন। এ ভোট কেন্দ্রটিতে প্রতি নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি থাকে। অথচ এবারের জাতীয় নির্বাচনে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় জনমানবশূন্য ছিল এ কেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন: এক কেন্দ্রে ঘণ্টায় ভোট পড়লো মাত্র ৩টি