রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৫:২৯ : অপরাহ্ণ
বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই সন্ত্রাসী দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ উন্নয়নে দেশের সোনালী সময় ছিল। দুর্ভাগ্য চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। বরিশালে নেতাকর্মীদের যে নির্যাতন করা হয়েছিল তা অবর্ণনীয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় অন্ধকার যুগ। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির অপশাসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। কথা দিয়েছিলাম কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সেই কথা রেখেছি। আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। দারিদ্র্য বিমোচন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূল্যে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বরিশাল এক সময় ছিল শস্যভান্ডার। আবার আমরা সেই ভান্ডারের সুনাম ফেরাতে সাইলো নির্মাণ করছি। শস্যভান্ডার হিসেবে বরিশালের সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই। বরিশালে মেডিকেল খুলে দিয়েছি, এছাড়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।’
এর আগে দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছান। এরপর বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভা মঞ্চে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্লোগানে স্লোগানে স্বাগত জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি লাখো জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।