রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশে ভীতিমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ। তা না হলে নির্বাচনের পর জাতিসংঘের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি আরেকটি নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রেখেই এই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত দুই সপ্তাহে কারা হেফাজতে ৬ জন বিরোধী দলের কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। চলমান এই পরিস্থিতির মধ্যেও আপনি কী এখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবেন, নাকি জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরিয়ে আনতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যেগ গ্রহণ করবেন? গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ভূমিকা রাখে সে অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।
এই প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আগেও আলোচনা করেছি এবং আপনিও উল্লেখ করেছেন যে, আমরা এমন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যেখানে জনগণ কোনো ভীতি প্রদর্শনের আশঙ্কা ছাড়াই তাদের ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে।’
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, ‘কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা হলো, সেটি নিয়ে নির্বাচন শেষে জাতিসংঘ অবশ্যই অবস্থান জানাতে পারে। তবে আমাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি।’
অন্য একজন সাংবাদিক সম্প্রতি বাসে আগুন, ১৯ ডিসেম্বর ট্রেনে আগুন দেয়ার ইস্যুতে প্রশ্ন করেন এবং মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চান।
জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলে, ‘ওইসব ভয়াবহ আগুনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আশা করি বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এর উৎস চিহ্নিত করবে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করবে।’