রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২:০২ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার মির্জা ফখরুলের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় এসব মামলা করা হয়। ১০ মামলার মধ্যে আট মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুলের নাম রয়েছে। আর দুই মামলায় তিনি সন্দেহভাজন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের অভিযোগ, রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় হওয়া ১১ মামলার মধ্যে একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ।
এ অবস্থায় গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেদিন আবেদনে শুনানি না নিয়ে তা রেখে দেন সিএমএম আদালত। পরে ১৪ ডিসেম্বর জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
ফখরুল-খসরুর রিমান্ড নামঞ্জুর, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একইসঙ্গে তাদের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়।
আজ দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। এদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়।