রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:১৩ : অপরাহ্ণ
উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে রাতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে চলা যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকালের তুলনায় আজ এই এলাকায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। অর্থাৎ গতকাল রোববার বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, ‘ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ছয়টায় নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও নিচে নামার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা হলেই বৃষ্টির মতো টুপটাপ শিশির বিন্দু ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়ে চারপাশ। আবার সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা চলে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোদের কারণে গরম থাকছে, আবার বিকেল হলেই রোদের তীব্রতা কমে গিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা হয়ে ওঠে।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকেই যানবাহনগুলোকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। আর শীতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা এ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ খুব ঠান্ডা পড়ছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা।’
সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার রমজান আলী বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে খুবই শীত। এ রকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর খুব সমস্যা। শীত সহ্য করা যাচ্ছে না।’