রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:০২ : পূর্বাহ্ণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি আবারও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে এই বিশ্ব সংস্থাটি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসেকে লেখা বাংলাদেশের চিঠির বিষয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, তিনি ওই চিঠি দেখেননি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী ও অন্য একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন ডুজারিক।
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক হিসেবে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। এর পেছনে আছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ অবস্থায় নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের সমর্থন পেতে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি লিখেছে। প্রধান বিরোধী দলকে জেলে রেখে কি আরেকটি একপক্ষীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে শাসকগোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করবেন?
এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমি ওই চিঠি দেখিনি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমি সবিস্তারে যা বলেছি এর আগে, এখনো তাই বলবো। তা হলো- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি আমরা।
এর আগে অন্য একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জাতিসংঘ।
এর জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, প্রথমত ঐতিহাসিক ইভেন্ট এবং এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি যথাযথ সম্মানপূর্বক আমি বলবো, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। দ্বিতীয়ত বারবার এখানে আমরা বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করা মহাসচিবের কাজ নয়। এটা বিচার বিভাগের দায়িত্ব।
ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক মিত্রদের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়। জাতিসংঘ কি জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে?
জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, না। জাতিসংঘ অতিসম্প্রতি বলেছে, নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না।