রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:২২ : পূর্বাহ্ণ
সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি ও সমমনা বিরোধী জোটের হরতাল চলছে।
দিনের শুরুতে রাজধানীসহ সারাদেশে রাস্তায় যান চলাচল কম দেখা গেছে। রাস্তায় কিছু গণপরিবহন চলাচল করলেও তাতে তেমন যাত্রী দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত গাড়িও অনেক কম।
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত খোলা থাকার কারণে যান চলাচল কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক যাত্রী।
এদিকে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সমর্থনে রাজধানীতে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ সকাল ৮টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে উত্তরায় জনপদ রোডে পিকেটিং করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এরপর রাজধানীর গুলশান ও উত্তরায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন রুহুল কবির রিজভী।
এদিকে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর মিরপুর, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী ও মুগদায় পিকেটিং-বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীরা। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা নেতৃত্ব দেন।
বিক্ষোভে জামায়াত নেতারা বলেন, দলদাসদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজিয়ে একদলীয় নির্বাচনের মহড়া প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল হবে না।
এর আগে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ষষ্ঠ দফায় ১৫ দিন অবরোধ ও তিনদিন হরতাল পালন করে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা জোট।
তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায়, ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায়, ১৪ ও ১৫ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ, ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল, ২২ ও ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠ দফায় অবরোধ, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সপ্তম দফায় অবরোধ এবং ২৮ নভেম্বর অষ্টম দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।