রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:১৪ : পূর্বাহ্ণ
কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির বিষয়ে মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিদেশে আমাদের কূটনীতিকদের সেফটি ও সিকিউরিটি অবশ্যই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। তাদের বিরুদ্ধে হুমকিকে আমরা অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিই।
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের কাছ থেকে অব্যাহতভাবে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতারা একই সুরে কথা বলছেন। তারা রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করতে চান। এরই মধ্যে নিজের নিরাপত্তা এবং মৌলিক ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। এ বিষয়টি কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াসলি নিচ্ছেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে বার বার আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছি। তাদেরকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেব যে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও এর কর্মকর্তাদের সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে বাধ্যবাধকতা আছে তাদের। আমরা আশা করবো তারা এসব বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: পিটার হাস কোথায় গেছেন, তা সরকার জানে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সাংবাদিক মুশফিক আরও জানতে চান, বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐক্যমতে আসার আহ্বানকে উপেক্ষা করে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। দমনপীড়ন অব্যাহত আছে। অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে এবং সরকারের জবাবদিহিতার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমাদের বার্তায় অবিচল আছি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও আমাদের বার্তা এখনও একই। বাংলাদেশি জনগণ যা চায়, আমরাও তাই চাই। তা হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বাংলাদেশে একক কোনো রাজনৈতিক দলকে আমরা সমর্থন করি না। আমরা এক দলকে বাদ দিয়ে অন্যদলকে সমর্থন করি না। সব দলের প্রতি সংযত থাকার, সহিংসতা পরিহারের এবং একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।