রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর ২০২৩, ৫:০১ অপরাহ্ণ
সরকার পতনের একদফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি ও জামায়াত। তাদের সঙ্গে সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে সমর্থন করে যাচ্ছে। এবার তাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনে সমর্থন ঘোষণা করেন।
সমাবেশ থেকে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আল্টিমেটাম দিয়েছে দলটি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিরোধী দলগুলোর গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করে চরমোনাই পীর বলেন, সরকার দাবি না মানলে ১০ নভেম্বরের পর সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, দেশের সরকার যখন যা খুশি করবে আর এ দেশের জনগণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে তা হতে পারে না। ২০১৪ আর ১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।
চরমোনাই পীর বলেন, আজ তিন নভেম্বর। আজ সরকারের মেয়াদ শেষ। এ কারণেই আজকের দিনে মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেছি।
এর আগে আজ সকাল থেকেই মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকাসহ সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকাসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন।
সকাল ১০টা থেকেই নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
এ সময় নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে। এখনো নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল।
‘ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে’ এই মহাসমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।