রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ৬:১৭ : অপরাহ্ণ
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে ইঙ্গিত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘‘আমরা কোনো কিছু কেড়ে নিতে দেবো না। ২৮ অক্টোবর যেমন আমরা ‘লগি-বৈঠা’ নিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিলাম, ঠিক সেভাবে এবারও আমরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবো।’’
আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘২৮ তারিখ আমাদের জন্যে অগ্নিপরীক্ষা। এ পরীক্ষায় আমরা ইনশাআল্লাহ্ বিজয়ী হবো।’
মতবিনিময় সভায় বিএনপির সমাবেশ থেকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নেতারা বলেন, ‘কোনো হুমকি ধামকিতে ভয় পায় না আওয়ামী লীগ। ২৮ তারিখ সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে ঘেরাও করে পরাজিত করা হবে।’
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ ছাড়া সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন ময়দান, নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই দিন ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। সেদিন ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র তুলে গুলি এবং মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এরপর আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে চারপাশ ঘিরে শ্লোগান দিতে থাকে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। সেদিন সহিংসতায় দেশজুড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। ২৮ অক্টোবরের আগের দিন এবং পরের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছিল। তিনদিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে অন্তত ২৩ জন নিহত হন।