আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক সভায় বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং আবারও নির্বাচনে জিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
তার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যদি জানেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আসবেন, এটা নির্ধারিত হয়ে গেলে নির্বাচনের আর প্রয়োজন কী?’’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যে শেষ বার্তা দিলেন ওবায়দুল কাদের
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমনভাবে কথা বলে, দেশটা যেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তারা ভাবে, এটা আমার, তুমি আবার এর মধ্যে নাক গলাও কেন!’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে তারা (আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আসতে দিতে চাইছে না, তার একটাই কারণ, তা হলো তারা ওয়াকওভার পেতে চায়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা যা বলছেন, তা কি জনগণের কথা?’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজিমপুরে কবর হয়ে গেলে সেটার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন কেন? সে সময় জনগণের, গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগকে একটা প্রতারক দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘তারা নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। তখন মানুষ তাদের ভোট দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেই লোকেরাই বলে, ‘আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।’’
এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা এখন জানে সুষ্ঠু ভোট হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সংবিধানের কথা বলছে। সংবিধান প্রতারণা করে পরিবর্তন করা হয়েছে। অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংশোধন আনা হয়েছে। সেই সংশোধনের ভিত্তিতেই এই সরকার হয়েছে। এই সরকার তো বেআইনি সরকার। বেআইনি সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় কী করে? তাই জনগণের স্বার্থে আপনারা পদত্যাগ করেন।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের মতো আচরণ করলে আওয়ামী লীগই শেষ হয়ে যাবে। বিএনপি আর হেফাজত এক না।’