সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

থানার নির্যাতনের কথা বলে আদালতে অঝোরে কাঁদলেন এ্যানি


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ অক্টোবর, ২০২৩ ৮:১৯ : অপরাহ্ণ
আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে থানায় এনে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর আগে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় এ্যানির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে দরজা ভেঙে এ্যানিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ সকালে তাকে ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরে দুটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানায় পুলিশ।

ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, এ্যানির বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল, যার মধ্যে একটি ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা মামলা, অপরটি লক্ষ্মীপুর জেলার একটি মামলা। এ দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর এ্যানিকে দুপুরে আদালতে হাজির করে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। তবে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শুনানিতে এ্যানি কিছু বলবেন কিনা জানতে চান বিচারক।

এ সময় এ্যানি বিচারকের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি ? আমি কি চোর, না ডাকাত?’

বিএনপির এই প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘রাত তিনটার সময় তারা (পুলিশ) এসে আমার বাসার দরজা ভাঙছে। আমি বলেছি, আমাদের বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আমাকে যদি গ্রেপ্তার করতেই হয় আপনারা অপেক্ষা করুন। যেহেতু রাত ৩টা বেজে গেছে আমি ফজরের নামাজ পড়েই আপনাদের সঙ্গে যাবো। তারপরও তারা দরজা ভেঙেছে।’

এ্যানি বলেন, ‘৫ মাস আগের মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতোদিন ধরে আমি রাস্তায়ই ছিলাম। কয়েকবার ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়েছি, মিটিং করেছি। তখন কেন ধরলো না ? রাত তিনটার সময় কেন আমাকে টেনে-হিচড়ে বাসা থেকে বের করে আনবে ? আমি একজন হার্টের রোগী। আমি এর বিচার চাই।’

শুনানিতে এ্যানির পক্ষে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ইকবাল সহ অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, আসামীকে কখন আটক করা যাবে আর কখন করা যাবে না। অথচ আইনকে অবজ্ঞা করে পুলিশ মধ্য রাতে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তার বাসগৃহের দরজা ভেঙ্গে আটক করেছে। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা আদালতে এসব বিষয় তুলে ধরেছি। শুনানি শেষে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের মতো পথ বেছে নিয়েছে।’

আরও পড়ুন: এ্যানিকে তুলে নিয়ে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার, রিমান্ড

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর