রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:২৩ : পূর্বাহ্ণ
গাজায় বোমাবৃষ্টি। সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় অব্যাহতভাবে হচ্ছে এই বোমাবৃষ্টি। হামাসের রকেট হামলার পর সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য সহ সমস্ত সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
একদিকে মৌলিক এসব চাহিদার অভাবে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। তার ওপর রাতভর বোমাবৃষ্টি। পুরো গাজা এখন অবর্ণনীয় এক দুরবস্থায়।
হামাস ও ইসরায়েলের এই যুদ্ধ ৫ম দিনে পড়েছে। এর মধ্যে উভয়পক্ষে কমপক্ষে ২১০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০০ মানুষ। আর গাজায় মারা গেছেন কমপক্ষে ৯০০ ফিলিস্তিনি।
তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইসরায়েলের ভিতরে হামাসের ১৫০০ সদস্যের মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে তারা। যদি তাদের এই দাবি সত্য হয়, তাহলে মোট নিহতের সংখ্যা ভয়াবহ।
বিবিসি বলছে, নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে সিরিয়ার বাহিনী এবং ইসরায়েলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অস্থির হয়ে পড়ার এক ভয়াবহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশ হামাসের প্রতি মৌন সমর্থন দিচ্ছে। তারা উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ। এর ফলে এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা মাত্র এবং ‘মধ্যপ্রাচ্যকে পরিবর্তন’ করে দেয়ার পদক্ষেপ।