নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ মঙ্গলবার মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সিইসি বলেন, ‘ওরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা সরকারের দপ্তরের সঙ্গে মিটিং করেছে। মূলত এটাকে প্রি অ্যাসেসমেন্ট টিম বলে। আমাদের সঙ্গে যে প্রশ্নগুলো হয়েছে-ওরা আমাদের ইলেকশন কমিশনের যে রোল, দায়িত্ব, অ্যাক্টিভিটিজ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে চেয়েছেন। আমরা সবকিছু তাদেরকে বোঝাতে পেরেছি যে, ইলেকশন কমিশনের রোল, ইলেকশন কীভাবে প্লে করে, গভর্নমেন্টের রোল কতটুকু, ওরা কীভাবে প্লে করে। সরকারের সঙ্গে ইলেকশনের কো-অর্ডিনেশনটা কীভাবে হয় এবং যার মাধ্যমে আমরা পুরো ইলেকট্রোরাল প্রসেসটা তুলে নিয়ে আসি। এটা তাদেরকে জানিয়েছি।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা যা যা জানতে চেয়েছিলেন তারা জেনেছেন। এখন ওরা জেনে কি করবেন সেটা আমরা জানি না। এটা ওনারা দেশে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তারা কোনো অবজার্ভার টিম পাঠাবেন কি পাঠাবেন না বা পাঠালে কিভাবে পাঠাবেন।’
তাদের মূল ফোকাসটা কী ছিল-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি তো বলেছি-ওরা প্রি ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট করতে এসেছেন। মূল ফোকাসটা হচ্ছে-ফ্রি, ফেয়ার, পার্টিসিপেটরি, পিচফুল ইলেকশন।’
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) নয়জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন বিষয়ক এই পর্যবেক্ষক দল। ইতিমধ্যে দলটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে। ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে দলটি।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে যায়। পরে তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামী সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।