রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:১৯ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে। বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার পরর্বতী ধাপের চিকিৎসা দেশে নেই বলে মত দিয়েছে ১৭ জনের সম্মিলিত মেডিক্যাল বোর্ড। এ অবস্থায় তাকে জরুরিভিত্তিতে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বেগম জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না । লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃৎযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এজন্য ইতোমধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।’
অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। ২ বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে তার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ এ বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।’
এ সময় মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চিকিৎসক নূরউদ্দিন আহমেদ, এস এম এ জাফর, আহসানুল আমিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।