রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ অক্টোবর, ২০২৩ ৩:২১ : অপরাহ্ণ
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী।
আজ শুক্রবার অসলোতে এক অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রাখায় নার্গিস মোহাম্মদীকে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হলো।
নার্গিস মোহাম্মদীর জন্ম ১৯৭২ সালের ২১ এপ্রিল ইরানের জানজান শহরে।
পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি জানিয়েছে, সাহসী সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে নার্গিস মোহাম্মদীকে অভাবনীয় মূল্য দিতে হয়েছে। ইরান সরকার তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার ও পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এ ছাড়াও, তাকে ১৫৪ বার বেত্রাঘাতের দণ্ডও দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এখনো কারাবন্দি আছেন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুতে ১৯৭৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান ইরানি সরকারে বিরুদ্ধে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ গণআন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এই আন্দোলনের শ্লোগান ছিল ‘নারী-জীবন-স্বাধীনতা।’ নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইরানের হাজারো নাগরিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পথে নেমে আসেন। শাসকগোষ্ঠী দমন-পীড়নের মাধ্যমে এই বিক্ষোভকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এতে ৫০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং আহত হন আরও হাজারো মানুষ। আহতদের অনেকেই পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে অন্ধ হয়ে যান। অন্তত ২০ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের মূলমন্ত্র—‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ যথার্থভাবে নার্গিস মোহাম্মদীর সারা জীবনের কাজ ও অঙ্গীকারকেই প্রতিনিধিত্ব করে।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়েলাৎস্কি এবং রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করার জন্য ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পান ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।