রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ অক্টোবর, ২০২৩ ৪:২৮ : অপরাহ্ণ
গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ দেওয়ার অন্যান্য শর্তের মধ্যে একটি ছিলো চলতি বছরের জুনের মধ্যে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলারে রাখা। তবে সেই শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় হয়েছে বাংলাদেশ।
কেন শর্ত পূরণ সম্ভব হয়নি তা আইএমএফ মিশনের সঙ্গে বৈঠক জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ঋণের শর্তানুযায়ী যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে সে বিষয়ে আইএমএফকে জানানো হয়েছে। আর যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ ঋণ অনুমোদনের সময় আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে বেশকিছু শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দুই-একটি জায়গায় ব্যর্থতা আছে। রিজার্ভ কিছু কম আছে। রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। তবে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করেছে। বিপিএমসিক্স অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া মুদ্রার বাজার নির্ধারিত বিনিময় হার প্রবর্তন করা হয়েছে। সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। তাদের দেওয়া যেসব শর্ত অর্জন হয়েছে তা জানিয়েছি আর যেগুলো অর্জন হয়নি সেগুলো কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।
শর্ত পূরণ না হওয়া নিয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ মুখপাত্র বলেন, আজ কেবল বৈঠক শুরু হয়েছে। তারা (আইএমএফ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে বসে আলোচনা করবে। প্রথমে তথ্য নিচ্ছে তারপর আবার বৈঠক করবে। আগামী ১৯ অক্টোবর শেষ মিটিং, সেখানে তাদের মতামত জানাবে। আমরাও আমাদের বিষয়গুলো জানাবো।
জানা যায়, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ছাড়া বাংলাদেশ অন্য যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে- তা হলো ন্যূনতম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা। গত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইএমএফ নির্ধারিতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা কম আদায় করেছে। এ জন্য চলতি অর্থবছর জিডিপির অনুপাতে ০.৫% বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে হবে এনবিআরকে।
আইএমএফ’র শর্ত অনুসারে, নতুন অর্থবছরে এনবিআরের যে স্বাভাবিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তার চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে।