শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল

দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করে নির্বাচন করতে?


আজ বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ অক্টোবর, ২০২৩ ৭:০৫ : অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘দিল্লি কি বলে দিয়েছে, নির্বাচনের দরকার নেই? দিল্লি কি বলে দিয়েছে, জোর করে নির্বাচন করতে? সেটা পরিষ্কার করে বলুন।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের ২২টি পেশাজীবী সংগঠন এই সম্মেলনে অংশ নেয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি।’

আরও পড়ুন: আপস হয়ে গেছে, দিল্লি আছে আমরা আছি: ওবায়দুল কাদের

এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি দিল্লিও আছে?’-এতে কি বুঝাতে চাইছেন, দিল্লি আপনাদের জানিয়েছে, এভাবে অপকর্ম করতে থাকো?’’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এতো বেশি পা চাটা হয়ে গেছে যে তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন ভয় নাই, ও রে ভয় নাই– তলে তলে আপস হয়ে গেছে- তাহলে স্বীকার করলেন এতো দিনে আপস ছিল না-আসলে আপনাদের মতো এতো বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর আগে পররাষ্টমন্ত্রী বলেছিল, আলোচনা হয়েছে-আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। বলেছে বৈঠক হয়েছে-আসলে কোনো বৈঠকও হয়নি। ছবি তোলার জন্য কত লবিং করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রং হেডেড পারসন (শেখ হাসিনা) অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়-তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি ও ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না-তাদের অধীনের কোন নির্বাচনকে কখনো বৈধতা দেয়া হবে না।’

লন্ডনে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার কথা এতো কুরুচিপূর্ণ-যা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকটি সত্য কথা বলে দিয়েছেন-তা হলো এদেশে যা কিছু ঘটে তা শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ঘটে- খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এতো স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে এদেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নাই-শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হলো সিদ্ধান্ত। এখন শেখ হাসিনা নিজেকে সম্রাট ঘোষণা দিলেই পারেন।’

খালেদা জিয়াকে অনুপ্রেরণা আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, গণতন্ত্রে পুনরুদ্ধারের সাথে কোনো আপস নেই, কোনো শর্ত নেই, ১/১১ এর সময় অন্যরা দেশের বাইরে গেছে কিন্ত আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের মাঠি ছেড়ে যায়নি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৪০১ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, সরকার চাইলে আইনের মধ্যে যেকোনো নাগরিকের সাজা মওকুফ করে দিতে পারে, কিন্তু তারা এখন মিথ্যাচার করছে। তা হলো আওয়ামী লীগ সরাসরি বললেই তো পারে তারা খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়।’

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর অব. সৈয়দ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর