শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপে পড়েছি: সিইসি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ অক্টোবর, ২০২৩ ১:৩৩ : অপরাহ্ণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে চাইছি, সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা অতিরিক্ত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে। তবে এগুলো সত্য হতে পারে। আবার মিথ্যাও হতে পারে। নির্বাচনে যে সংকট রয়েছে, সেটা আস্থার সংকট।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বাজারে যে কথা আছে আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই যে, আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে, তা অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখাতে চাইবো মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে।’

সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। প্রজাতন্ত্র অর্থ প্রজারা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন করে। এই জিনিসটা একটু মাথায় রাখবেন। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। অতীতেও হয়েছে।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ হতে হবে। তা না হলে দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তাবে।’

পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে কাজী সিইসি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। অনেকে আবার না দিয়েও অভিযোগ করেন। কাজেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি দল থেকে এজেন্টে দিয়েছেন কি না। এজেন্ট শক্তিশালী হলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।’

এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর