রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৮:০৫ : পূর্বাহ্ণ
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। পরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
একসময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগ।
এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।
৪০ বছর বয়সে নবুয়তপ্রাপ্ত হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন শরিফে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)
এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।
বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় ছুটি। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ চর্চা ও মানবকল্যাণে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জশনে জুলুস, মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন জশনে জুলুস বের করবে।